কারো ব্যক্তিজীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি মোকাবিলার প্রক্রিয়াই হলো বর্তমানকালের বীমা ব্যবস্থা। মানুষের ব্যক্তিগত জীবন ও তার সহায়-সম্পদ সকল সময়ই ঝুঁকি দ্বারা পরিবেষ্টিত। মানুষকে এই সকল ঝুঁকির হাত থেকে আর্থিক নিষ্কৃতি বা আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যে যে ব্যবস্থা গৃহীত হয় তাকে বীমা বলা হয়ে থাকে। বীমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি যেখানে বীমাপত্রগ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম বা সেলামির বিনিময়ে তার সম্ভাব্য ঝুঁকি বা বিপদের ভার বীমাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্পণ করে। অন্যদিকে বীমাকৃত জীবন বা সম্পত্তির চুক্তিতে উল্লিখিত কোনো কারণে ক্ষতি বা হানি হলে বীমাকারী আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়।
বীমার নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যাবলি লক্ষণীয় :
১) বীমা হলো ঝুঁকির বিপক্ষে এক ধরনের আর্থিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা;
২) এটি ঝুঁকির সম্মুখীন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ঝুঁকি বণ্টন করে;
৩) মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি হলো এর বিষয়বস্তু;
৪) প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমা কোম্পানি এক্ষেত্রে জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি গ্রহণ করে এবং
৫) বীমাকৃত কারণে হানি বা ক্ষতি হলে বীমা কোম্পানি অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে।